• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

হাসপাতাল থেকে ফেলা দেওয়া হলো রোগী


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৮:৩৪ পিএম
হাসপাতাল থেকে ফেলা দেওয়া হলো রোগী

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে এক রোগীকে খোলা আকাশের নীচে রাস্তায় ফেলে দেন একজন আয়া। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ওই রোগীকে উদ্ধার করে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন পুলিশ। এসময় ওই রোগীর পুরো চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান বিপিএম-সেবা।

ওই রোগীর নাম মোশারফ হোসেন। তার বাড়ি ঝিনাইদাহের শৈলকোপা এলাকায়। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন জানান, মোশারফ হোসেন ফরিদপুরে দিন মুজুরের কাজে করেন। ২৫ দিন আগে ফরিদপুরের মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারাত্নক আহত হন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার সকালে এক আয়া তাকে ফরিদপুর-বরিশাল রোডে ফেলে দিয়ে যান।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশে তাকে উদ্ধার করে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসময় ওই রোগীর পুরো দায়িত্ব এসপি।

এ ব্যাপারে অসুস্থ রোগী মোশারফ হোসেন বলেন, “আমি অনেক অনুনয় বিনয় করলেও হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে কোনো চিকিৎসা সেবা দেন নাই। আমাকে একটি ট্যাবলেটও দেয়নি। অসুস্থ অবস্থায় রোদের মধ্যে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছে। পরে এসপি স্যারের নির্দেশে জেলা পুলিশ আমাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। এছাড়া স্যার (এসপি) আমার পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আমি এসপি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন।”

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, “৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই রোগীকে উদ্ধার করে। পরে এসপি স্যারের নির্দেশে রোগীকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসময় এসপি স্যার ওই রোগীর পুরো দায়িত্ব নেন।”

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, “পুলিশ সবসময় মানুষের জন্যেই কাজ করেন। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকাই তাদের কাজ। আমরা খবর পেয়ে ওই রোগীকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ওই রোগীর যাবতীয় চিকিৎসাসহ সব দায়িত্ব জেলা পুলিশের পক্ষে থেকে নেওয়া হয়েছে।” 

Link copied!