ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া পুটিয়া গ্রামে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে বলেন, “গত ২৯ জুলাই পুটিয়া গ্রামে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় আকামত দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মাঝে বাক-বিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে পরদিন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোদাচ্ছের হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।”
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেন। সে মামলায় আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণও করেন। কিন্তু এই হত্যার ঘটনাকে পুঁজি করে মিলন-বিপুল বাহিনী গ্রামে লুটপাট, ভাঙচুর চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ওই গ্রামের কমপক্ষে ৭০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। মিলন-বিপুল বাহিনীর অত্যাচারে গ্রামের ৫০টির অধিক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অত্যাচার নিপীড়ন বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ আশা করছেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনের ভুক্তভোগী রজব আলী, যমুনা বেগম, লালমতি খাতুন, কবির হোসেন, বিউটি আক্তার, রোকেয়া খাতুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।