সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হচ্ছে। স্কুলে স্কুলে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ধোয়ামোছার কাজ।
তবে দীর্ঘদিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষে মশার বংশবিস্তার ঘটেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় শ্রেণিকক্ষ ও এর আশপাশে পটুয়াখালী পৌরসভার উদ্যোগে ছিটানো হচ্ছে মশার স্প্রে।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
পরে লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারি, লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও মহিলা সমিতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও আশপাশের ঝোপঝাড়ে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে।
চলমান কর্মসূচির আওতায় শনিবারের মধ্যে পটুয়াখালী পৌর এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
পটুয়াখালী পৌর মেয়র মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সুস্থ ও নিরাপদ থেকে পাঠদান গ্রহণ করুক শিক্ষার্থীরা-সেই প্রত্যাশায় মশকনিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।”
তবে দীর্ঘ ১৭ মাস শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্কুলের আশপাশে ময়লা-আবর্জনা স্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলের আশপাশে বৃষ্টির পানি জমে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে পটুয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে স্কুলে স্কুলে মশা নিধনের ওষুধ ও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে স্কুল প্রাঙ্গণে ফেরার।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত গত ১৭ মাসে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়।
করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সবশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।