• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্কুলের ভেতর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২২, ০৮:২২ এএম
স্কুলের ভেতর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নান্দিনা মধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি ঘর ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় আসা যাওয়া করছেন ওই ফ্যাক্টরির সঙ্গে যুক্ত বহিরাগত শ্রমিক-কর্মচারী ও ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৯-২০ অর্থবছরে নান্দিনা মধু উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করে। যার কারণে আগে ব্যবহৃত আধাপাকা ঘরগুলোর তিনটি রুম স্থানীয় আব্দুল রহমান বাবলুকে ভাড়া দেওয়া হয়। তিনি সেই রুমগুলোতে সুইং মেশিন স্থাপন করে কিছু জনবল নিয়োগ দিয় বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করছেন।

স্কুলের রুম ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি নামাও করা হয়েছে। চুক্তিনামায় দেখা গেছে, ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তিন হাজার টাকা মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে টেইলার্স বসানোর জন্য তিনটি রুম ভাড়া দেন এবং ছয় হাজার টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করেন।

আব্দুর রশিদ নামের এক অভিভাবক বলেন, “এই বিদ্যালয়টিতে আমার পরিবারের ছয়জন ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে। ফ্যাক্টরিটায় সব সময় লোক সমাগম হয়ে থাকে। এতে ছেলে মেয়েদের সমস্যা হয়। অনেক সময় আমার ছেলেমেয়েরা ফ্যাক্টরির সামনে দিয়ে গেলে অনেক কটূক্তি শুনতে হয়।”

বিষয়টি নিয়ে ফোনে বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই পরিত্যক্ত রুমগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকলের অনুমতি নিয়ে কাজগুলো করা হয়েছে। এতে যদি কারো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তারা যেন আমাকে অথবা ম্যানেজিং কমিটিকে অবগত করে।”

বিদ্যালয়ের রুম ভাড়া নেওয়া আব্দুল রহমান বাবলু বলেন, “ডিসেম্বরের দিকে আমি রুমগুলো ভাড়া নিয়েছি। কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে অভিযোগ দিচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে নোটিশ দিয়েছে দুই মাসের মধ্যে আমার জিনিসপত্র এখান থেকে সরিয়ে নিতে।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি মৌখিক এবং লিখিতভাবে বলে দিয়েছি গার্মেন্টসটি এখান থেকে সরিয়ে নিতে।”

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকমান আলী বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটি পরিত্যক্ত রুমগুলো ভাড়া দিয়েছেন। তবে এর কারণে যদি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় তাহলে কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!