পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় তিন দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৫, ৬, ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
বুধবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই দিন ধার্য করেন।
সকালে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন বিচারক। এতে নিহত মেজর সিনহার সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য প্রদান শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। পরে সিফাতের সাক্ষ্য প্রদান ও জেরা শেষ হয়।
এর আগে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে সিনহা হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম ধাপ শেষ হলো। মামলার বাদী ও ১ নম্বর সাক্ষী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ছাড়াও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। পরে বিচারক এই হত্যা মামলার প্রথম ধাপের ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর চার দিন ধার্য করেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, “নির্ধারিত তিন দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এই তিন দিনে ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও দুজনের সাক্ষ্য ও জেরা করা সম্ভব হয়েছে। বাকি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৪ দিন ধার্য হয়েছে।”
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, “এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ করে দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম সমাপ্ত করতে চায় রাষ্ট্রপক্ষ। সে লক্ষ্যে ধাপে ধাপে সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হবে।”
সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেন, “বরাবরের মতো আমরা আমাদের উপস্থাপন করছি। আমি চাই অভিযুক্ত ১৫ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি। বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে এখনো কথা বলার সময় আসেনি। আমি আরও পর্যাবেক্ষণ করছি।”
ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেন, “বাদী ও সিফাতের বক্তব্য একই। যার সঙ্গে অভিযোগপত্রের মিল নেই। এসব যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা আদালতে হাজির হব।”
গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম।