কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত দ্বিতীয় ধাপে চার দিনে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ সাক্ষ্য গ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “চতুর্থ দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৬ নম্বর সাক্ষী ইমাম হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম। দ্বিতীয় ধাপের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২০, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।”
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, “চার দিনে চারজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরাও শেষ করেছেন। পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত। আশা করি সে তারিখেও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।”
ওসি প্রদীপের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেন, “আমরা এখনো প্রত্যাশা করছি ওসি প্রদীপ নির্দোষ। এখানে যারা সাক্ষী দিচ্ছেন তারা বিশেষ একটি চক্রের নির্দেশে এসেছেন। তাদের কথার সঙ্গে ঘটনার বর্ণনা মিলছে না।”
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ আটক করে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।
অপর আসামিরা হলেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে কোনো জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।