• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সরকারি কর্মচারীর হাতে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক লাঞ্ছিত


নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১, ০৯:৩০ পিএম
সরকারি কর্মচারীর হাতে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক লাঞ্ছিত

নড়াইল শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের হাতে দুই বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত হয়েছেন। আর এ দৃশ্য ভিডিও করার সময় এক সাংবাদিক লাঞ্ছনার শিকার হন। সাংবাদিকের মুঠোফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নড়াইল জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

লাঞ্ছিত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএ মতিন এবং এসএ টিভির নড়াইল জেলা প্রতিনিধি আবদুস সাত্তার।

বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু বলেন, সকাল ৯টা থেকে নড়াইল মুক্ত দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির শেষ দিকে জেলা শিল্পকলা চত্বরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট এসএ মতিন নাস্তার প্যাকেট আনতে যান। তখন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিসি অফিসের সহকারী নাজির বাবর আলীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বাবরসহ ডিসি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী এসএ মতিনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। তখন আমি এগিয়ে যাই। এরপর তারা পুনরায় আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং কয়েকবার তেড়ে আসে। এসময় উত্তেজিতভাবে আমাদের নিয়ে অশালীন আচরণ করতে থাকেন। ঘটনাস্থলে সরকারে কয়েকজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এসএ মতিন বলেন, “আমরা জীবন বাজি রেখে নড়াইলকে মুক্ত করেছিলাম। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে ডিসি অফিসের কর্মচারীদের হাতে লাঞ্ছিত হলাম। এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু থাকতে পারে না।”

সাংবাদিক আবদুস সাত্তার বলেন, “মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠান শেষে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। নাজির বাবর আলীসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এসএ মতিন ও সাইফুর রহমান হিলুর ওপর তেড়ে যাচ্ছেন। তখন পেশাগত কারণে আমি ভিডিও ধারণ করতে যাই। এসময় বেশ কয়েকজন কর্মচারী আমাকেও লাঞ্ছিত করে ও আমার মুঠোফোন কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান মুঠোফোনটি উদ্ধার করে আমাকে ফেরত দিয়েছেন। তবে মুঠোফোনের ভিডিওসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট মুছে ফেলেছে তারা।”

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত শাখার সহকারী নাজির এটিএম বাবর আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন কেটে দেন তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান বলেন, “আজ সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে।”

Link copied!