অবশেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার খুলতে যাচ্ছে কক্সবাজার সৈকতসহ সব পর্যটনস্পট। ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজগুলো প্রস্তুতি নিয়েছে। হতাশা ছাপিয়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
তবে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত না করে যেনতেন ভাবে সমুদ্রসৈকতে নামা যাবে না। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলি, কবিতা চত্বর, ইনানী ও পাটুয়ারটেক এই ৬টি পয়েন্টে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের শক্তিশালী টিম। জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় পৃথক ৩টি মোবাইল টিম কাজ করবে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে পর্যটনস্পটগুলো বিধি সাপেক্ষে উন্মুক্ত করে দিয়েছে সরকার। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় আমরা নিয়োজিত আছি। নিরাপদ দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিচে নামতে হবে। দলবদ্ধভাবে এক জায়গায় দাঁড়াতে পারবে না।
স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেই লক্ষ্যে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চলছে টিমওয়ার্ক।
এসপি মো. জিল্লুর রহমান আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে থাকবে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম। বিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনা মতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের আসার অনুরোধ। পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবেন সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।