• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সমকামী প্রেমে বেপরোয়া দুই কিশোরী


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২২, ০৬:৪৯ পিএম
সমকামী প্রেমে বেপরোয়া দুই কিশোরী

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমলিঙ্গের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকৃত হলেও বাংলাদেশের আইনে এর অনুমোদন নেই। সামাজিকভাবেও এর প্রতি রয়েছে বিরূপ মনোভাব। কিন্তু সোমবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশের দুই কিশোরী সমকামী প্রেমে এক বিরল নজির স্থাপন করেছেন। ১৫ ও ১৭ বছর বয়সের ওই দুই কিশোরী বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি নোয়াখালীতে, অন্যজন টাঙ্গাইলের বাসিন্দা।

প্রায় দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই দুই কিশোরীর। প্রথমে তাদের বন্ধুত্ব হয়, পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। প্রেমের টানে তারা প্রায় দুই মাস আগে ঢাকার সাভারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। পরে আনোয়ার নামের এক ব্যক্তির সহায়তায় তারা সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে দুই পরিবারের কাছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ রোববার (২০ মার্চ) তাদের দুইজনের ফোনে কথা হয়। সোমবার (২১ মার্চ) প্রেমের টানে নোয়াখালীর কিশোরী সংসার করতে চলে যান টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ময়থা গাছপাড়া গ্রামে। তাদের এই সিদ্ধান্তে হতভম্ব দুই পরিবার।

ঘটনার দিন রাতেই বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তাদের দ্রুত আলাদা স্থানে রাখা প্রয়োজন উল্লেখ করে এক এলাকাবাসী বলেন, “বর্তমান যুগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সময়। প্রতিনিয়ত এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে আরেক প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ হচ্ছে। যতটুকু আমরা জেনেছি ওই দুই কিশোরীর মধ্যে ফেসবুকে যোগাযোগ হয়েছে। প্রেমের এক পর্যায়ে তারা এখন বিয়ে করতে চাচ্ছে। তারা এখনো কিশোরী, সাবালিকা নয়। এই ধরনের অবান্তর চিন্তা থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে দুই পরিবার এবং প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত।”

টাঙ্গাইলে বাসাইলের ময়থা গাছপাড়া এলাকার ইউপি মেম্বার সেকান্দার আলী স্বপন বলেন, “এলাকাবাসীর কাছে জানতে পেরেছি নোয়াখালী থেকে একটি মেয়েটি রোববার সন্ধ্যায় আমার এলাকায় এসেছে। নোয়াখালীর মেয়েটি আমার এলাকার একটি মেয়েকে স্বামী হিসেবে জীবনসঙ্গী করবে বলে জানিয়েছে।”

সমলিঙ্গের মধ্যে প্রেম ও বিয়ের বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

ওই দুই কিশোরী বলে, “আমরা এখন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারব না। প্রয়োজনে আমরা বাড়ি ছেড়ে গার্মেন্টসে চাকরি করে দুজনে সংসার করব।”

ঘটনাটি শুনেছেন উল্লেখ করে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নোয়াখালীর মেয়েটির পরিবারকে তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। মেয়েটির পরিবার এলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

Link copied!