শেরপুরে পৃথক ঘটনায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে ঝিনাইগাতী থেকে এক কিশোর ও শ্রীবরদী উপজেলা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, ঝিনাইগাতীতে কবুতর চুরির অপবাদে অভিমান করে সজীব নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বুধবার রাতে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মধ্য ডেফলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সজীব ওই গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ও শালচুড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার দুপুরে একই গ্রামের বাসিন্দা চাঁন মিয়ার ছেলে ছামু, জয়নাল মিয়ার ছেলে হেদা ও নিহত সজীবসহ তিন বন্ধু মিলে একই গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে ইস্রাফিলের বাড়ি থেকে তিনটি কবুতর চুরি করে ঝিনাইগাতী বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। ইস্রাফিল ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় ইস্রাফিলের বোন লাইলী কবুতর চুরির বিষয় নিয়ে ওই কিশোরদের অভিভাবকের কাছে জানায়। পরে কিশোর ছামুর মা মোর্শেদা বেগম নিজেই ঝিনাইগাতী বাজারে গিয়ে সজীব, ছামু ও হেদাকে তিনটি কবুতরসহ তাদের বাজার থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সময় ছামু ভয়ে রাস্তা থেকে পালিয়ে যায়। বাকি দুই কিশোরকে নিয়ে তিনটি কবুতর ইস্রাফিলের বোনকে বুঝিয়ে দেয়। এ সময় লাইলী কিশোরদের চোর অপবাদ দিয়ে গালমন্দ করে। সজীব বাড়িতে ফিরলে তার মা নাজমা বেগমও ছেলেকে বকাঝকা করেন। পরে সে ওই রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসে এবং সুরতহাল করে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে শ্রীবরদীতে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে রফিক মিয়া নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার রাতে পৌরসভার জালকাটা এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। রফিক উপজেলার কুরুয়া রহমত পুর গ্রামের লস্কর আলীর ছেলে।