একসময় সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা ছিল জামায়াত-শিবিরের বড় আস্তানা। সেই আস্তানায় বসে দলীয় কার্যক্রম চালাতেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত সেই আস্তানা ভেঙে দেওয়া হয়। তবে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা আলিয়া মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে আবারও তৎপর হতে শুরু করেছেন।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মাদ্রাসার পরিত্যক্ত পাঠাগার কক্ষে সিলেট জেলা পশ্চিম শিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জামায়াত-শিবিরের দায়িত্বশীল অনেক নেতা উপস্থিত থেকে দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন।
গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখানে অভিযান চালায় কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জামায়াত-শিবিরের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে দুই শিবির নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের নিয়ে আলিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন উপকরণসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
আটক দুই শিবির নেতা হলেন সিলেট শহরতলির জালালাবাদ থানাধীন আটগাঁও গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আমিনুর রহমান ও দক্ষিণ সুরমার সিলামের আসাদ মিয়ার ছেলে শাহার আহমদ।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী বলেন, সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার পরিত্যক্ত পাঠাগারে কীভাবে শিবিরের নেতা-কর্মীরা সম্মেলন করে, সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এসব বিষয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পুলিশ কথা বলবে। অভিযানকালে পুলিশ ব্যানার, ডায়েরি, আইডি কার্ড ও সরকারবিরোধী লিফলেট জব্দ করেছে।