জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকায় কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঢাকাগামী লঞ্চ যাত্রীদের।
শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল থেকে বরিশাল নদীবন্দরে ভিড় করলেও লঞ্চে যাত্রীদের উঠতে দেওয়া হয়নি। ফলে টার্মিনালে তাদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
এদিকে আজ বিকেল ৩টার পর ঢাকাগামী ৭টি বিলাসবহুল লঞ্চের সিঁড়ি তুলে রাখা হয়। আর সন্ধ্যার দিকে তিনটি লঞ্চ বন্দর টার্মিনাল থেকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়। বিকেল ৩টার পর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলোর চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।
লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন বলেন, “লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় লঞ্চ চালাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মালিকরা।”
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান শনিবার দুপুর পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তাই তেলের টাকা জোগাড় করতে না পারায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান এই নেতা।
ঢাকা বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের স্টাফ শাহাবুদ্দিন বলেন, “কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রী ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।”
সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সুকানি বেলাল হোসেন বলেন, “শুনেছি লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মালিকের সঙ্গে কথা বলে লঞ্চে যাত্রী ওঠানো হবে কিনা সিদ্ধান্ত নেবো।”
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমি কিছুক্ষণ আগেই শুনেছি লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ার বিষয়টি। লোকাল রুট শুধু নয়, সব রুটের লঞ্চই বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকরা।”