• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয়ে ট্যানারির মালিকরা


সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২২, ০৮:৫১ এএম
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয়ে ট্যানারির মালিকরা

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবার সংশয়ে রয়েছেন ট্যানারির মালিকরা। এক কোটির বেশি চামড়ার চাহিদা থাকলেও তা মজুত ও সংরক্ষণে গুণগত মানের দিক দিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন একাধিক ট্যানারিমালিক।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরার বাংলাদেশ বিসিক শিল্পনগরীতে কয়েক লাখ চামড়া কিনেছেন ট্যানারি মালিকরা। তবে ওই চামড়াগুলোর বেশির ভাগ লবণ ছাড়াই এবং রক্তমাখা অবস্থায় ট্যানারিতে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান ট্যানারির মালিকরা।

ট্যানারির মালিকরা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরে বাংলাদেশ বিসিক শিল্পনগরীতে ১৩৯টি ট্যানারি চামড়া কিনবে। এতে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাতকৃত চামড়ার চাহিদা রয়েছে প্রায় এক কোটির বেশি। কিন্তু সারা দেশে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। তবে চামড়ার গুণগত মান ও পচন থেকে রক্ষা করতে মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের লবণ দিয়ে পশুর চামড়া মজুতের নির্দেশ দেন সরকার।

কিন্তু ভিন্ন চিত্রের কথা জানান ট্যানারির মালিকরা।

অঞ্জুমান ট্যানারি প্রজেক্ট ম্যানেজার জহিরুদ্দিন সরকার জানান, রোববার দুপুরের পর থেকে কাঁচা চামড়া আসতে শুরু করেছে ট্যানারিতে। তবে এগুলোর বেশির ভাগই রক্ত মাখা ও লবণ ছাড়া ছিল। তাই ট্যানারিতে আসার পরে নিজেদের শ্রমিক দিয়ে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ট্যানারির মালিক মিলন জানান, মৌসুমি ব্যাপারীরা লবণ দিয়ে চামড়া সংগ্রহ না করলে গুণগত মান নষ্ট হতে পারে। তাই টার্গেট অনুসারে চামড়ার কমতি দেখা দিতে পাবে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে ট্যানারি পরিদর্শনে এসে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা জানান, এবার ১ কোটি ২০ লাখ পশু কোরবানি হওয়ার কথা ছিল সারা দেশে। সারা দেশ থেকে ৯০ লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে এবার। ইতিমধ্যে ট্যানারিগুলোতে কাঁচা চামড়া আসায় শ্রমিকরা তা লবণ দিয়ে মজুদ করে রাখছে। শ্রমিকদের চামড়া ভালোভাবে লবণ লাগাতে ট্যানারি মালিকরা নিজেই উপস্থিত থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এদিকে কিছু ট্যানারির বর্জ্যের পানি সরাসরি রাস্তায় যাওয়ায় ও ধলেশ্বরী নদীতে পড়ায় এলাকা দূষিত হওয়ায় শিল্প সচিব অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে জরিমানাসহ নানা দিকনির্দেশনা দেন।

ট্যানারির মালিকদের পাশাপাশি কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী সোমবার থেকেই কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন শেডে মজুত করে রাখছে। তারা গরুর চামড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে ও ছাগলের চামড়া ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা দরে কিনছেন। 

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!