মাগুরায় কুপ্রস্তাব ও যৌন হয়রানীর প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষিকা ও তার মাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম খোকন রায়। তিনি মহম্মদপুরের ভিটে পাড়া গ্রামের লক্ষ্মীপদ রায়ের ছেলে।
আহত মা-মেয়েকে শনিবার বিকালে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি স্কুল শিক্ষিকার মা রিপা রানী অভিযোগ করেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরের গণশিক্ষা কার্যক্রমের একজন শিক্ষিকা। দীর্ঘদিন ধরে খোকন রায় স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছেন। পাশাপাশি কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মান সম্মানের ভয়ে তারা বিষয়টি এতদিন গোপন রেখেছিলেন। শনিবার সকালে খোকন রায় তাদের বাড়ির সামনে এসে তার মেয়েকে একইভাবে উত্যক্ত করেন। এ সময় তিনি ও তার মেয়ে এটির প্রতিবাদ করলে একটি বাঁশ দিয়ে খোকন রায় তাদের পিটিয়ে আহত করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে খোকন রায় পালিয়ে যান।
নির্যাতিতা স্কুল শিক্ষিকার চাচা নিধির বিশ্বাস বলেন, “বখাটে যুবক দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাতিজিকে উত্যক্ত করে আসছে। শনিবার বাড়ি এসে মারধর করেছে। আমরা এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেব।”
অভিযুক্ত খোকন রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে মারধর করিনি। বরং মা-মেয়ে মিলে আমাকে মেরেছে। পরে আমাকে ফাঁসানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।”
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”