ভোলায় যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটুকে গুলি করে হত্যার প্রধান আসামিসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত টিটুর স্ত্রী রোকেয়া বেগম চেয়ে জানান, ২৬ নভেম্বর মেঘনার মধ্যবর্তী মদনপুর ইউনিয়ন থেকে খেয়া নৌকায় ফেরার পথে তার স্বামী খোরশেদ আলম টিটুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই মো. হানিফ ভুট্টো বাদী হয়ে জামাল উদ্দিন চকেটকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার পরদিন আবুল বাশার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করার হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও মামলার প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বর্তমানে তিনি দুটি শিশু সন্তান নিয়ে দুঃখ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। মামলার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন চকেটসহ সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত টিটুর মা, দুই শিশু সন্তানসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২৬ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকালে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত (দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হয়েছে) চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নুর কর্মীভোজ শেষে ট্রলারে করে যাওয়ার সময় গুলিতে নিহত হন খোরশেদ আলম টিটু।
টিটু সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।