দেশে মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে সরকারি দলের লোকজন মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে অর্থ পাচার করছে।”
আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব বলেন, “সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ব্যর্থ। প্রশাসন এখন রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। তারা রাজনৈতিক নেতার মতো কথা বলে।”
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, “সরকার দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা তা হতে দিতে পারি না।”
দেশের বিচার ব্যবস্থা এখন আর স্বাধীন নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব বলেন, “বিচার ব্যবস্থা চলে আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে।”
স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে থাকলেও এখন বর্তমান সরকার তাকে বন্দী করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।”
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনার উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গিরদার।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ, সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও নির্বাহী সদস্য মো. রেজাউল করিম বাদশা, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামিম ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয়েছে কাউন্সিল। এ সময় জেলার ১৮টি ইউনিটের ১ হাজার ৮১৮ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন করবেন আগামীর নেতৃত্ব। কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
