দুই জেলা থেকে মামা-ভাগ্নেসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে টাঙ্গাইলে মামা-ভাগ্নেসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে পটুয়াখালীতে লঞ্চের কেবিনে এক নারীর লাশ পাওয়া যায়।
টাঙ্গাইল
জেলার দেলদুয়ার এবং ঘাটাইল উপজেলা থেকে শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের নরুন্দা গ্রামের আব্দুল্লার ছেলে মাসুদ (৩৫), টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাগজানা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে এলাহী (৩৮) এবং ঘাটাইল উত্তর পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে প্রান্ত (১৯)। মাসুদ ও এলাহী সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিার মো. ইদ্রিস বলেন, দেওজান গ্রামের মৃত ফজলুল হকের বাড়িতে নির্মাণাধীন পানির রিজার্ভ ট্যাংকি পরিষ্কার করতে গিয়ে মাসুদ এবং এলাহীর মৃত্যু হয়। তারা পেশায় নির্মাণশ্রমিক।
এদিকে ঘাটাইলে নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুর থেকে প্রান্ত (১৯) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে পৌর এলাকার উত্তরপাড়ার পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পটুয়াখালী
ঢাকা থেকে পটুয়াখালীগামী এমভি সম্রাট-৭ লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ অক্টোবর) লাশটি উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেবিনটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। কেবিনের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানান লঞ্চ স্টাফরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে।