মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙনের কবলে পড়েছে রাস্তাঘাট।
সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জেলার শিবালয় উপজেলার আরিচা পয়েন্টের পানির স্তর পরিমাপক মো. ফারুক হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এছাড়া পদ্মাসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ইছামতী, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানিও বাড়ছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি, বাঘুটিয়া, শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর, আরিচা, নেহালপুর, জাফরগঞ্জ, ঘিওর উপজেলার সিংজুরি, বড়টিয়া, সদর উপজেলার কুশেরচর, হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা, কাঞ্চনপুর, সুতালড়ী, লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, “জেলার ৫০ কিলোমিটার এলাকা পদ্মা ও যমুনা নদীর পাড়ে হওয়ায় প্রতিবছর এসব এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে। হরিরামপুরের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ছয় হাজার জিও ব্যাগ সরবরাহ করেছে। এরই মধ্যে সাড়ে তিন হাজার ব্যাগ ফেলা হয়েছে।”
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। জরুরিভাবে বিভিন্ন এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙনরোধের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।