বরগুনার পাথরঘাটায় খালের পাড়ে মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ে শিশুর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর এলাকায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, সুমাইয়া ও তার ৯ মাসের মেয়ে সামিয়া।
পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে গর্ত খুঁড়ে পুতে রেখেছিলেন ওই গ্রামের শাহিন মুন্সী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং বিয়ের আগেই সন্তানের জন্ম হয়। এরপর শালিস বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। তবে বিভিন্ন ছোট খাটো বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাদের ঝগড়া হতো। কিছুদিন আগে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের স্বপরিবারে দাওয়াতে যান। কিন্তু শাহিন সেখানে যাননি। ওই দিন দাওয়াত থেকে বাড়ি ফেরার পর তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শনিবার (৩ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা শাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়। গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত-পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, সুমাইয়ার নিখোঁজের পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান করা হয়। অবশেষে সকালে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত-পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সুমাইয়ার শ্বাশুড়ি, নানী শ্বাশুড়ি ও মামাত দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। শাহিন পলাতক রয়েছে। তার মোবাইলও বন্ধ। শাহীনকেও আটকের চেষ্টা চলছে।