ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৫১ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৯১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টি কেন্দ্র সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৭৭টি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৮১ জন। এর মধ্যে ঘোষপুর ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ১৪ জন, সাতৈর ইউনিয়নে ২১ হাজার ৪৬ জন, দাদপুর ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৯৮ জন, ময়না ইউনিয়নে ২০ হাজার ৪৯৩ জন, বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে ৭ হাজার ৩৯৩ জন, গুনবহা ইউনিয়নে ১৭ হাজার ১৪৫ জন, চতুল ইউনিয়নে ১৬ হাজার ১৮০ জন, পরমেশ্বরদী ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৪২১ জন, রূপাপাত ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৫৯৩ জন এবং শেখর ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৯৯৮ জন।
গত ১০ নভেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ২৫ নভেম্বর, বাছাই হয় ২৯ নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দিন ছিল ৬ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ করা হয় ৭ ডিসেম্বর।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে যে কোনো ধরনের সহিংসতা রোধে পুলিশের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, “সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।”
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল তারিখের নির্বাচনে এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে পাঁচটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও দুটি ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নূরুল আলম মিনা মুকুল চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।