সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিঃস্বার্থ ক্ষমা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশ ও জাতিসহ নারায়ণগঞ্জ এবং সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেন, “১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বারদী ইউনিয়নে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে (ওয়াজ-মাহফিল) তার নির্বাচনী এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও চোর-ডাকাত নির্মূলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথা প্রসঙ্গে ভুলক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উল্লেখ করে একটি অমার্জিত বক্তব্য দেই। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য নিজের অপরাধ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আগামী দিনে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে শেষবারের মতো সুযোগ চাই।”
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, “বারদী ইউনিয়নে ডাকাত, সন্ত্রাস, জুয়ারি, মাদককারবারি ও চাঁদাবাজদের বসবাস। এখানকার দুজন জনপ্রতিনিধি ডাকাতি ও জুয়ায় সঙ্গে সম্পৃক্ত। ডাকাত ও চাঁদাবাজদের কারণে শান্তির বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিন কাটান। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বারদী ইউনিয়নকে মাদক, সন্ত্রাসবিহীন ইউনিয়ন গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে আসছি।”
চেয়ারম্যান বাবুল বলেন, “ওই বক্তব্যে আমি আসলে বলতে চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর বারদীতে ডাকাতদের দমন করতে আমার হুকুম লাগবে না। আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। কিন্তু মুখ ফসকে অন্যরকম কথা বেড়িয়ে গেছে। এ জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”
লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেন, “প্রকৃতপক্ষে ওইদিন (গত ১২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াজ মাহফিলে তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়েছে। স্থানীয় মাদককারবারি ও জুয়ারিদের প্রতিরোধ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। আমার নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কুচক্রী মহলটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঠিক বিষয়টি প্রচার করেনি। যতোই ষড়যন্ত্র হোক বারদী থেকে সকল অপশক্তি নির্মূল করতে কাজ করে যাব।”
কোনো চাপে পরে এই সংবাদ সম্মেলন ও ক্ষমা প্রার্থনা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থেকেই আমি আমার সকল ইউপি সদস্যদেরকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি।”
১২ ফেব্রুয়ারি বারদীতে একটি ওয়াজ মাহফিলে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বারদীতে এলে আমাকে জানিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। আওয়ামী লীগ হতে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।