নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ সুপারের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাত থেকে শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী ও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৮ জন এজাহারভুক্ত আসামি ও ৫ জন সন্দেহভাজন আসামি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুবর্ণচর উপজেলার চরবহুলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো. ফরহাদ (২৬), চৌমুহনী পৌরসভার সাহাব উদ্দিনের ছেলে শামীম (২৭), জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন (১৮), বাবুলের ছেলে দুলাল (৪০), ছয়ানীর ইউনিয়নের দেলোয়ারের ছেলে জুয়েল (১৯), কামরুল হাসানের ছেলে আরাফাত হোসেন আবীর (১৮), হাজীপুরের নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে রাজীব (২৪) ও তাজুল ইসলামের ছেলে কামাল (৪৫)। এদের সবাইকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুরের আবদুস সা্ত্তারের ছেলে শহীদ (৪৫), গণিপুরের এতিম আলীর ছেলে হুমায়ন (৬৩), আবুল কাশেমের ছেলে কাশেম বিন আবু জুবায়ের অরিন (২৫), মোস্তফার ছেলে ইমাম হোসেন রাজু (২৮) ও বাবুল মিয়ার ছেলে আলা উদ্দিন (৩৫)।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “ওইদিনের হামলাটি পূর্ব পরিকল্পিত। হামলাকারীদের এক পক্ষ বাজারের প্রধান সড়কে থাকা পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, আর সাতটি গ্রুপ একযোগে ৭টি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে সহিংসতাকারীদের চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “বেগমগঞ্জে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলায় ১২২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ টি মামলায় ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”