মহামারি করোনার প্রভাবে বদলে গেছে নাটোরের উত্তরা গণভবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দিন ধরে বন্ধ ছিল দর্শনীয় এই স্থানটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হবে উত্তরা গণভবন।
গণভবনের ভেতরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে ফল, ফুল আর পাখিদের কিচিরমিচির কোলাহল। অন্যদিকে গাছের ডালে ডালে সবুজের সমারোহ। মানুষের চলাচল না থাকায় প্রকৃতি যেন ফিরে পেয়েছে আগের রূপ। দর্শনার্থীদের চলাফেরা না থাকলেও পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উত্তরা গণভবন।
৪৪ একর আয়তনের উত্তরা গণভবনজুড়ে রয়েছে বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য গাছ। এসব গাছে এখন বাসা বেঁধেছে নানা প্রজাতির পাখি। মানুষের চলাচল না থাকায় গণভবনের ভেতরে নানা জাতের গাছ গাছালি সেজেছে প্রকৃতি অপরূপ সাজে। তেমনি পাখিরা এসে বাসা বেঁধেছে।
বর্তমানে পুরো গণভবন যেন পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। গণভবনের ভেতর ও বাইরে কয়েক শ বছর ধরে সারি করে দাঁড়িয়ে থাকা পামগাছগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে হাজারো দেশি টিয়া পাখির আবাস। গাছে গাছে চড়ে বেড়াচ্ছে কাঠঠোকরা। প্রজাপতিরা মনের আনন্দে ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে। মানুষের কোলাহল না থাকায় চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে বেশ কয়েকটি হরিণ শাবক। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও বৈচিত্র্যময় এবং নান্দনিক করে তুলেছে উত্তরা গণভবনের ভিতরের পরিবেশকে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, “দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকা সব মানুষের জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উত্তরা গণভবনসহ জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো কাল থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়।”