গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত) পদ্মার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ দুপুরে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি বেড়ে যাওয়ায় তীব্র স্রোতের ফলে ১০ মিটার এলাকার জিও টিউব স্লাইড নদীগর্ভে চলে গেছে। এর ফলে ঝুঁকিতে আছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকার বসতবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা।
জিও টিউব স্লাইডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেই স্থানে বালিভর্তি জিওব্যাগ ও জিও টিউব ফেলার কাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নাছিমা বেগম বলেন, “আগে নদী এখান থেকে ২/৩ কিলোমিটার দূরে ছিল। কিন্তু এখন ভাঙতে ভাঙতে আমার ঘরের কাছে চলে আসছে। আমার বাড়িঘর এখন সরাইয়ে নিতে হচ্ছে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী রহিম মোল্লা বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চঘাট এলাকায় ব্যবসা করছি। এই দোকানই আমার সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন। যদি এই দোকান নদী গর্ভে বিলীণ হয়ে যায় তাহলে আমি পথে বসে যাব।”
আরেক স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ খান বলেন, “বর্ষা আসলেই দৌলতদিয়ায় ভাঙন শুরু হয়। নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন দোকানের কাছাকাছি চলে আসছে। ভাঙন রোধে প্রতিবছরই আশ্বাস দেয় জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু কাজের কাজ হয় না।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল আহাদ বলেন, “বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা নদী শাসনের কাজ শেষ করার চেষ্টা করেছি। তবে, নদীর গতিপথ পরিবর্তন আর পানি বাড়ার কারণে কিছু জায়গায় স্লাইডিং এবং ভাঙন হয়েছে। সেসব জায়গায় আমরা দ্রুত ভাঙন রোধের জন্য কাজ করছি।”