সিলেট বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত সিলেট মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সভা শুরুর আগে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অনুসারীর সঙ্গে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের অনুসারীরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপরই শুরু হয় হট্টগোল। একপক্ষ অন্যপক্ষের দিকে সমাবেশ স্থলে থাকা চেয়ার ছুড়তে থাকেন। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলা বিশৃঙ্খলার পর শান্ত হন নেতাকর্মীরা। এ সময় সমাবেশ মঞ্চে বসা ছিলেন বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় পর্যায়ের তিন নেতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা জানান, সমাবেশস্থলের সামনের চেয়ারে বসা নিয়ে একপক্ষের সঙ্গে অন্যপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সুরমা মার্কেট ও তালতলা এলাকারা ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয় অর্জনের একদিন আগেই হানাদারমুক্ত হয় সিলেট। দিনটিকে স্মরণ করে শনিবার ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে আলোচনা সভার আয়োজন করে সিলেট বিভাগীয় বিএনপি।
সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার দুপুরে বিমানে করে সিলেটে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চার শীর্ষ নেতা। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন ইউনিট সিলেটকে মুক্ত করে। সে সময় জিয়াউর রহমানের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।