বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ, কারাগারে চালকসহ তিনজন


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১, ০৮:৫৬ এএম
বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ, কারাগারে চালকসহ তিনজন

ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসের ভেতরে গার্মেন্টস কর্মীকে (১৪) ধর্ষণের মামলায় চালকসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ইমাম হাসান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন মায়ের দোয়া বাসের চালক রহিম মিয়া (৩০) ও হেলপার মামুন মিয়া (২৫) ও আশরাফ আলী (২২)।

আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস। তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার তিনজন ধর্ষণের কথা স্বীকার করলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”

এর আগে রোববার (১৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের কুদ্দুস মিয়ার গ্যারেজের পাশে বাসের ভেতরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরদিন সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে ভালুকা থানায় ওই গার্মেন্টসকর্মীর বড় বোন বাদী হয়ে বাসের চালক হেলপারসহ তিনজনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, “মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিক্টিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।”

মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত ১৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভালুকা সিডস্টোর বাজার এলাকা থেকে ‘মায়ের দোয়া’ বাসের হেলপার চালকসহ তিনজন পূর্বপরিচয়ের সূত্রে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে তাদের খালি বাসে তোলে। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের পাশে বাস দাঁড় করিয়ে কুদ্দুসের গ্যারেজের পাশে এনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসটি থামিয়ে চালক রহিম মিয়া, মামুন মিয়া ও আশরাফ আলী সারা রাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় ড্রাইভার রহিম মিয়া ওই কিশোরী মেয়েটিকে তাদের জামিরদিয়া এলাকায় পৌঁছে দেয়। বাসায় ফিরে ভিকটিমের বড় বোনকে বিষয়টি জানালে ভালুকা থানায় মামলা করেন। মামলার পর ওই দিন রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

Link copied!