সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুরে সুরুজ আলী নামে এক বৃদ্ধা বাবাকে গলাকেটে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আটক সুজাত মিয়া। সুজাত মিয়ার তথ্যমতে শুক্রবার (১০ জুন) রাতে বাড়িতে থাকা হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করেছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশীষ ধর।
পুলিয় জানায়, বাবা হত্যার ঘটনায় আটক হওয়া ছোট ছেলে সুজাতকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। পরে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের প্রথম দিনে ঘাতক ছেলে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাতে সুজাত আলী তার পিতাকে প্রথমে ঘুমের ওষধ খাওয়ায় পরে গলা টিপে হত্যার করে। পরে বাড়িতে থাকা চাকু দিয়ে গলাকেটে প্রতিবেশিদের জানায় তার বাবাকে ডাকাতেরা হত্যা করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুরের গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে সুরুজ আলী (৬৫) দুই ছেলে সুজন মিয়া ও সুজাত মিয়াকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত সোমবার মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে সুরুজ আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের পর বৃদ্ধার বড় মেয়ে খোদেজা বেগম (৪০) বাদী হয়ে বুধবার (৮ জুন) জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে বাবার খুনের ঘটনায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ছোট ছেলে সুজাতকে আটক করে।
জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল শুভাশীষ ধর বলেন, “দায় স্বীকারের বিষয়টা আদালতে বলবে এ বিষয়ে জেনে পরে জানানো হবে। শুক্রবার (১০জুন) রাত ৯টার দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘাতক সুজাত মিয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় হত্যায় ব্যবহার করা বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।”