• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বন্যার পর বাড়ছে পানিবাহিত রোগ


সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২, ১২:৫৫ পিএম
বন্যার পর বাড়ছে পানিবাহিত রোগ

সিলেটের আকাশে গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত দেখা দিচ্ছে রোদ। এতে কমছে নদ-নদীর পানি। তবে বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও দ্রুত ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ। জ্বর, ডায়রিয়া ও চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বন্যাকবলিত সিলেটের লোকজন।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত সিলেটের মোট ৯ হাজার ৮৬৩ জন পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ‘হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম’ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এ পর্যন্ত পানিবাহিত রোগে সিলেট বিভাগে ৯ হাজার ৮৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে আছেন সিলেট জেলায় ২ হাজার ৮৪৭, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৭৭৮, হবিগঞ্জে ৩ হাজার ৩৪ ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ২৩৬ জন। তারা জ্বর-সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চোখের প্রদাহ ও চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হন। তবে এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি।

সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৫০৭ জন ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৫৪, সুনামগঞ্জে ১০০, হবিগঞ্জে ২৩১ ও মৌলভীবাজারে ১২২ জন রয়েছেন।

এদিকে পানিতে ডুবে ও বন্যার কারণে বিভিন্নভাবে সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সিলেট জেলার ১৮, সুনামগঞ্জের ২৮, হবিগঞ্জের ৫ ও মৌলভীবাজারের ৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নূরে আলম শামীম জানান, পানিবাহিত রোগ-বালাই যাতে সিলেটকে কাবু করতে না পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য বিভাগের ৪২৯টি টিম কাজ করছে বিভাগজুড়ে।

এ প্রসঙ্গে শামীম বলেন, “পানিবাহিত রোগ-বালাই সিলেটে যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য বিভাগজুড়ে ৪২৯টি টিম কাজ করছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪০, সুনামগঞ্জে ১২৩, হবিগঞ্জে ৯২ ও মৌলভীবাজারে ৭৪টি টিম সক্রিয়।”

এদিকে গত ১৫ জুন সিলেটে দ্বিতীয় দফা বন্যা হানা দেয়। এতে ডুবে যায় শহর ও গ্রামের ৯০ ভাগ এলাকা। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সিলেট বিভাগ। এক সপ্তাহ পর থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও কয়েকদিন পর ফের বাড়তে থাকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কবলে পড়েন সিলেটবাসী। এ অবস্থায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!