বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে বন্ধুর প্রেমিকার। তাই সেই খবর পেয়ে বন্ধুর পরামর্শে পাঁচজন একসঙ্গে গিয়েছিলেন রাতের অন্ধকারে প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে তাকে তুলে আনতে। কিন্তু মেয়ের পক্ষের লোকজনের কাছে মারধর খেয়ে গুরুতর জখম হয়ে অবশেষে প্রাণ গেল রাসেল (২২) নামের এক যুবকের।
এ ঘটনায় আহত হয়ে প্রেমিক মঞ্জরুল জোয়াদ্দার (২২) ও তার অপর বন্ধু রাজু আহমেদ (২৩) বর্তমানে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত রাসেল মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তিন নম্বর শ্রীকোল ইউনিয়নের বরিশাট গ্রামের দলিল শেখের ছেলে।
নিহত রাসেলের বন্ধু প্রেমিক মঞ্জুরুল জোয়াদ্দার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী ছোনগাছা গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার (১৪ জুন) মেয়েটি তার এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর দেয় তার অভিভাবক তাকে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে। এ খবর জানার পরে আমরা মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে পাঁচ বন্ধু দুই মোটরসাইকেল যোগে মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়ের পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে আমাদের মারধর করেন। এতে আমরা তিন জন গুরুতর আহত হই। পরে কোনোমতে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে আসি। প্রথমে আমাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাসেলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (১৫ জুন) সকালে তার মৃত্যু ঘটে।”
ঘটনার বিষয়ে মেয়েটির বাবা দিদার মণ্ডল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে মঞ্জরুল আমার মেয়েকে বিরক্ত করে আসছিল। স্কুলে যাওয়ার সময় সে প্রায়ই আমার মেয়ের গতিরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এ জন্য বেশ কিছুদিন তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ ছিল। আমরা গরিব মানুষ তাই মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলাম। এ কথা কোনোভাবে জানতে পেরে মঞ্জুরুল সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে মেয়েকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রাতের বেলায় কে বা কারা তাদের মেরেছে, সেটা আমরা বলতে পারব না।”
জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন সরকার বলেন, “প্রেমঘটিত বিষয়ে মারামারির কারণে একজনের মৃত্যুর খবর আমরা জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। এ বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।”
