• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

পোস্ট অফিসের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ০৮:২২ এএম
পোস্ট অফিসের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ

টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাকরাইল পোস্ট অফিসের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাকরাইল এলাকায় অবস্থিত এই পোস্ট অফিস। স্থানীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের ভাইসহ পাঁচ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, পৌর শহরের সাকরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ১২ শতাংশ জায়গা পোস্ট অফিসের। পোস্ট অফিসের জায়গার পরিমাণ ১২ শতাংশ হলেও অফিসের ভবনটি ব্যবহৃত হয়েছে মাত্র দেড় থেকে দুই শতাংশের মধ্যে। বাকি জায়গায় সাকরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছাফিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েকজন চার-পাঁচটি দোকান দিয়ে আড়াই বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। শফিকুল ইসলাম যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের ভাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, করোনার লকডাউনের আগেও পোস্ট অফিসের অব্যবহৃত জায়গা পড়ে ছিল। যুবলীগ নেতার ভাই ও স্কুলের নৈশ প্রহরী শফিকুল ইসলাম প্রথমে অব্যবহৃত জায়গায় অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করেন। পরে স্থানীয়রা আরও চার-পাঁচটি দোকান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

ছাফিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও স্কুলের নৈশ প্রহরী শফিকুল ইসলাম বলেন, যে স্থানে দোকান করা হয়েছে সে জায়গাটি ছিলো পরিত্যক্ত। দোকানটি অবৈধ স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, সরকার যদি তাকে দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলে, তাহলে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নেবেন।

সাকরাইল পোস্ট মাস্টার অঞ্জলী নিয়োগী বলেন, অবৈধ দোকানদারদের প্রাথমিকভাবে দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে বললেও তারা দোকান না সরিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় ডেপুটি পোস্ট মাস্টারকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলেন। পরে অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল ডেপুটি পোস্ট মাস্টার ওমর ফারুক জানান, পোস্ট অফিসের জায়গায় অবৈধ দোকান সরিয়ে নিতে মালিক পক্ষকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ না করা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

Link copied!