পীরগঞ্জের সহিংসতা খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি

রংপুরের পীরগঞ্জে সহিংসতার ঘটনা খতিয়ে দেখতে মানবাধিকার কমিশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‘ধর্ম অবমাননা’ করে ফেসবুক পোস্টকারী ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক পরিতোষ সরকার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজনকে দিনাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শেনের কথা রয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ভাষানী অনুসারী পরিষদ মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েত সাকি, মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানসহ ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর।

রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে ফেসবুক পোস্টে ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে উপজেলার মাঝিপাড়া, বটতলা ও হাতীবান্ধা গ্রামে অন্তত ২০টি বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

জেলা ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানায়, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের খবর পায় তারা। এরপর পীরগঞ্জ থেকে দুটি, মিঠাপুকুর থেকে দুটি ও রংপুর থেকে একটি ইউনিট সেখানে আগুন নেভাতে যায়।

এ নারকীয় ঘটনার অভিযুক্ত ফেসবুক পোস্টকারী পরিতোষ সরকারকে সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে জয়পুরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (পীরগঞ্জ-মিঠাপুকুর) মো. কামরুজ্জামান। 

এরআগে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।