• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পাবনা মুক্ত দিবস ১৮ ডিসেম্বর 


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২১, ০৭:১৪ পিএম
পাবনা মুক্ত দিবস ১৮ ডিসেম্বর 

১৮ ডিসেম্বর পাবনা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্ত হয় পাবনা সদর উপজেলা।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ যখন বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে তখনও পাবনা শহরে চলছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ। ১৮ ডিসেম্বর পাবনা হানাদার মুক্ত হওয়ার আগে ১৪ ডিসেম্বর দুপুর থেকে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। ১৪ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে মিত্র বাহিনী পাবনা শহরে মটার সেল ও বিমান হামলা চালাতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী চর্তুদিক থেকে পাবনা শহর ঘিরে ফেলে আক্রমণ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর। উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণে পাকিস্তানি সেনারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং পাবনা ছেড়ে দলে দলে পালিয়ে যায়।

এ সংবাদে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষ ঘর ছেড়ে বাড়ির বাইরে এসে উল্লাসে ফেটে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটনায়। মূলত এ দিনই পাবনার মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করে। মুক্তিযোদ্ধারা শহরে এসে সমবেত হতে থাকে। পরে পাবনা কালেক্টরেট ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে, পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার স্বাক্ষী হিসেবে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার শহীদনগর ডাববাগান, করমজা, ধুলাউড়ি, রুপসী, বাউশগাড়ী, সোনাকান্দ, নাগডেমরা, পাবনা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া, নাজিরপুর, টেবুনিয়া, সুজানগরের সাতবাড়িয়াসহ এ পর্যন্ত ৪১ টি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্জয় পাবনা নামে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা শহীদদের স্মরনে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। 

Link copied!