ফেনীতে প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শিউলী (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পাল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালতে রোকেয়া আক্তার শিউলী জানান, তার স্বামীর সঙ্গে কিছুদিন থেকে অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া ও পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যে চলে আসছিল। মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে তার স্বামী মো. সোহেল উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে উচ্চ স্বরে তালাক দেন। এ সময় তালাকের কথা বলায় শিউলী নিজেও উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে বাসায় থাকা দা দিয়ে স্বামীকে কোপান। এতে স্বামী মারা যান। তখন তিনি তার ছোট দুটি সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ির কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান। তারা ফেনী শহরের সুফি সদর উদ্দিন সড়কের (নাজির রোড) বাড়া বাসায় থাকতেন।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত রোববার রোকেয়া আক্তার শিউলীকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ শিউলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহেল প্রায় ১২ বছর দুবাইয়ে বসবাস করেন। প্রায় ৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর ও ৪ বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। গত ১৬ জুলাই দুবাইপ্রবাসী সোহেল দেশে আসেন। এরপর থেকে সোহেলের সঙ্গে তার স্ত্রী শিউলীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই কথা-কাটাকাটি হতো।
স্ত্রী শিউলী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে এবং সোহেল একই উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।