• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ১০:১৮ এএম
ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন

পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ মোড় এলাকার ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, শত শত যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে শুরু করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কেও রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ জট।

ঝিনাইদহ থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের চালক রফিক বলেন, “দুই দিন আগে আসছি দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়। এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই।”

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা আরেক চালক মনসুর খাঁ জানান, “শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘাট এলাকায় আসলেও ফেরিতে উঠতে পারি নাই। এখানে হোটেল, বাথরুম না থাকায় আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।”

যশোর থেকে কাভার্ড নিয়ে আসা চালক মো. সামসুল হক বলেন বলেন, “রাত ১টার সময় ফেরি ঘাটে আসলেও এখনো  উঠতে পারি নাই। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পারাপার হতে সময় লাগছে। এই নৌপথে ফেরিসংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।”

ফরিদপুর থেকে আগত আরেক ট্রাকচালক শিমুল বলেন, “এই দীর্ঘ জটে আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই। এই নৌপথে এমন জট মাঝে মাঝেই দেখা যায়। এখানে ফেরির সংখ্যা বাড়াতে হবে।”

ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে আটকে থাকা পটুয়াখালী থেকে আসা করিম সরদার বলেন, “এই জায়গায় না আছে আমাদের বিশ্রামের জায়গা, না আছে খাবার হোটেল আর না আছে শোচাগার। ভোগান্তিতে রয়েছি।”

একই স্থানে আটকে থাকা মাগুরা থাকে আসা চালক সাগর শেখ বলেন, “যদি একটি টার্মিনাল থাকত তাহলে আমাদের এতটা বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।”

গোপালগঞ্জ থেকে আসা বৃষ্টি আক্তার জানায়, “শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি বন্ধ থাকায় এদিক দিয়ে আসা যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। গরমে বাচ্চাকে নিয়ে বাসের মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে।”

সাতক্ষীরা থেকে আগত সোহাগ পরিবহনের চালক সোহান বলেন, “ঘাট এলাকায় এসে দীর্ঘ সময় এই যানজটে বসে থেকে ঝিমুনি চলে আসে। এর ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কাও বেড়ে যায়।”

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। এর ফলে স্রোতের বিপরীতে ফেরি আসতে সময় লাগছে। পানি বৃদ্ধির ফলে অনেকগুলো ঘাট সরাতে হয়েছে। এখন ১৬টি ফেরির চলাচল করছে।”

শিহাব উদ্দিন আরও বলেন, “আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ে এই যানজট কেটে যাবে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!