ঘন কুয়াশা ও উত্তরে হিমেল হাওয়ায় পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা ওঠানামা করায় দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে।
মাঘের দ্বিতীয় দিন (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা সকাল ১১টায় সারাদেশের সাথে নির্ণয় শেষে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস।
এদিকে একই দিন বেলা ১২টায় এক লাফে ১২ ডিগ্রি বেড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাঘের প্রথম দিনও (১৫ জানুয়ারি) দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে মাঘের শীত বাঘ না পালালেও উত্তরের এই জনপদের মানুষে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এখন দিনের বেলায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে পথঘাট। দুপুরে কিছু সময়ের জন্য সূর্যেও মুখ দেখা মিললেও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তাপ ছড়াতে পারে না তেমন। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরে হিমেল হাওয়ার ও ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। কমে আসে তাপমাত্রাও। মাঝরাতে অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত।
শীতের প্রকোপ বাড়ায় জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে। সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। অন্যদিকে শীতের দাপটের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। এতে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজকে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে ৩ দিন ধরে উত্তরের এই জনপদে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ও রেকর্ড করা হচ্ছে বলে এই কর্মকর্তা আরো জানান।