নীলফামারীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের তিন শিশুর বাবা রেজওয়ান হোসেন ও নিহত সাহসী যুবক শামীম হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া আকতারকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তিনি রেজওয়ানের হাতে ৫০ হাজার টাকা এবং শামীমের স্ত্রী সুমাইয়া আখতারকেত ২০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এর আগে দুুপুর ১টার দিকে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের মনসাপাড়ার বউবাজার পৌঁছে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। প
রে বউবাজারে শোকসভায় বক্তৃতাকালে মন্ত্রী বলেন, “যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাদের পরিবারকে আমি কিছুই দিতে পারবো না, সমবেদনা ছাড়া। তারা যেন শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন।”
এ সময় নিহত তিন শিশুর বাবা রেজওয়ান ও সাহসী যুবক শামীমের স্ত্রী সুমাইয়া আকতারকে রেলে চাকরির আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী বলেন, নতুন যেসব রেলপথ হচ্ছে সেখানে আন্ডারপাস ওভারপাস করছি। কিন্তু যেগুলো পুরোনো সেগুলোতে সম্ভব নয়। এ কারণে গ্রামে গ্রামে রেললাইনের যে এলাকায় ক্রসিং দরকার সেগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় করবে। এ নিয়ে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।”
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বক্তব্য দেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তারুজ্জামান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান উপস্থিত এসময় ছিলেন।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বউবাজার এলাকায় চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী খুলনা মেইল ট্রেনে কাটা পড়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ মারা যান চারজন। ওই স্থানে রেললাইন পারাপারের জন্য একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছিল। নির্মাণ কাজের জন্য ইট নিয়ে একটি ট্রাক এলে সেটি দেখতে যায় শিশুরা। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী রকেট মেইল ট্রেন তাদের সামনাসামনি চলে আসে। পরে প্রতিবেশী শামীম ওই তিন ভাইবোনকে বাঁচাতে গেলে তিনিও ট্রেনে কাটা পড়েন। নিহতরা হলো বউবাজার গ্রামের আবুল হোসেনের বড় মেয়ে রিমা আক্তার (৭), মেজো মেয়ে রেশমা (৪), ছোট ছেলে মমিনুর রহমান (৩) এবং একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (২৬)।