রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলায় অনুষ্ঠিত ইয়নিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানা হচ্ছে না নির্বাচনী আচরণবিধি। আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রচারণা। প্রার্থীদের অচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী শরিফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী বিধি মেনেই তারা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেই সাথে তাদের কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন কেউ যেন দেওয়াল বা গাছে কোন পোস্টার না লাগায়।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ হোসেন জানান, তারা আচরণবিধি মেনেই পোস্টার লাগিয়েছেন। দেওয়াল বা গাছে তার কোন পোস্টার লাগানো হয় নাই।
মৃগী ইউনিয়নের হারেজ প্রামাণিক জানান, টিনের ঘরে পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিছু দিন পরে দেখা যাবে টিনে মরিচা ধরেছে।
মাঝবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস শেখ বলেন, “বিগত নির্বাচনের সময় দেখেছি ভোট কেন্দ্রে মারামারি ফাটাফাটি। এ বছর কেমন হবে জানি না। যদি মারামারি ফাটাফাটির ঘটনা না ঘটে তাহলে ভোট দিতে যাব। না হলে যাব না।“
জানা যায়, কালুখালী উপজেলার ৭ ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৩০ জন। বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭ ইউনিয়নের প্রার্থী ৩১ জন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, প্রতিটা উপজেলায় তাদের রির্টানিং কর্মকর্তা এবং নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন তারা।