কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদি হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে টুরিস্ট পুলিশ।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের ঘোনা পাড়া রুহুল্লার ডেইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাবু কক্সবাজার শহরের বাহাড়ছড়া এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দীন জানান, আলোচিত পর্যটক নারী ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন মেহেদী হাসান বাবু। ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ দল মামলার পর থেকে অভিযান চালিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে অঘোনাপাড়া রুহুল্লার ডেইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের এ দল।
মো. মহিউদ্দীন আরও জানান, মেহেদি হাসান বাবু কক্সবাজার শহরের একজন বড় অপরাধী এবং এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আশিকের শীর্ষ সহযোগী। পর্যটন জোনে চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে বেড়ান তিনি। এসব অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে। এমনকি নিজ এলাকার বাহারছড়ার সাধারণ লোকজনও তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
গত ২২ ডিসেম্বর রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক ঢাকা থেকে স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে আসা এক নারী পর্যটককে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিকসহ এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন আশিকের দুই সহযোগী ইস্রাফিল খুদা জয়, মেহেদী হাসান বাবু এবং হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।