রাজশাহী নগরীর ৯৫২টি পুকুর সংরক্ষণের পাশাপাশি পুকুর যাতে দখল ও ভরাট না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ আগস্ট) রাজশাহী নগরীর পুকুর ভরাট বন্ধে জারি করা একটি রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, “এক জরিপে দেখা গেছে, রাজশাহী শহরে ৯৫২টি পুকুর বিদ্যমান রয়েছে। এসব পুকুর সংরক্ষণ নিশ্চিত করা এবং আর যাতে পুকুর দখল বা মাটি ভরাট না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে রায়ে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
রায়ে নির্দেশনাগুলো হলো রাজশাহী শহরে আর যাতে কোনো পুকুর ভরাট ও দখল না হয়, তা বিবাদীদের নিশ্চিত করতে হবে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তর, র্যাব ও জেলা প্রশাসনকে বিদ্যমান পুকুরগুলো সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুকুরগুলো যাতে অক্ষত (অরিজিনাল) অবস্থায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজশাহীর অনেক পুরোনো সুখান দিঘির দখল করা অংশ পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত মামলাটি চলমান থাকবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরশেদ জানান, ২০১৪ সালে রাজশাহীর পুকুর ভরাট ও দখলের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি করা হয়। ওই সময় শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে বিদ্যমান পুকুরের তালিকা দিতে নির্দেশ দেন। পরে জেলা প্রশাসন থেকে ৯৫২টি পুকুরের তালিকা আদালতে দাখিল করা হয়।
