• ঢাকা
  • সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

ধর্ষণের পর খুন, সেপটিক ট্যাংকে রাখা হয় লাশ


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২, ০৪:৩৯ পিএম
ধর্ষণের পর খুন, সেপটিক ট্যাংকে রাখা হয় লাশ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে বিউটি বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৮ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া এলাকার প্রবাসী শাহ আলমের ছেলে উজ্জল হোসেনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বিউটি বেগমের বাড়ি বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড় গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিউটি বেগম স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর থেকে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ক্ষেতলালের শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জলের সঙ্গে ৬ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২১ এপ্রিল রাতে প্রেমের টানে বিউটি উজ্জলের বাড়িতে আসেন। রাতের কোনো এক সময় উজ্জল তাকে ধর্ষণ করেন। বিউটি বিয়ের চাপ দিলে উজ্জল রাতেই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে পুঁতে রাখেন।

পববর্তীতে বিউটি নিখোঁজ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগের পর বগুড়া জেলা পুলিশ নিহতের হারানো মোবাইলের সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উজ্জলকে গ্রেপ্তার করে। উজ্জলের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানী জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২১ এপ্রিল বাড়িতে ডেকে এনে বিউটি বেগমকে ধর্ষণের পর খুন করে টয়লেটের কুপে মরদেহ চাপা দেয় উজ্জল হোসেন। নিহতের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ প্রেমিক উজ্জলকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে শনিবার ভোরে হত্যার এক মাস সাত দিন পর বিউটি বিবির মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
 

Link copied!