রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে এক গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাড়ি গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানা এলাকায়। তিনি এক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ ও বাসন থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পল্লীর শিরিন বাড়িওয়ালীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে।
বাড়িওয়ালী শিরিন তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করাত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত বাড়িওয়ালী শিরিনকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ বলছে, ওই গৃহবধূ ১১ আগস্ট নিখোঁজ হন। পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে তিনি চাকরি খোঁজার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়েন। পরে ওই চক্রটি তাকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে শিরিন বাড়িওয়ালার কাছে বিক্রি করে দেয়।
এদিকে নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের বাসন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অনুসন্ধানে নেমে বাসন থানা পুলিশ জানতে পারে গৃহবধূকে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লিতে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশের সহযোগিতায় বাসন থানা পুলিশ পল্লির শিরিন বাড়িওয়ালা ঘর থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাসন থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, গাজীপুরের বাসন থানা এবং আমাদের গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশের একটি টিমের যৌথ প্রচেষ্টায় ওই গৃহবধূকে যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ একটি পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে শিরিন বাড়িওয়ালার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তাকে গাজীপুরের বাসন থানার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়িওয়ালীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।