লকডাউন তুলে নেওয়ার পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বারখ্যাত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। আর এ নৌপথের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় চার কিলোমিটার অংশে পাঁচ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং দৌলতদিয়া থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটার অংশে প্রায় ১ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান আটকে পড়ে আছে।
কুষ্টিয়া থেকে আসা বাস যাত্রী নুসরাত সুলতানা জানান, তিনি বিকাল ৩টা নাগাদ রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এলেও এখনো ফেরিতে উঠতে পারেননি।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সোহাগ পরিবহনের সুপারভাইজার সামস্ হোসেন বলেন, “প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা হলো ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় আছি। আর কত সময় লাগবে বুঝতে পারছি না। এভাবে জ্যামে আটকে থাকার ফলে ড্রাইভারের চোখে ঘুম চলে আসে আর দুর্ঘটনা সম্ভাবনাও বাড়ে।”
গোপালগঞ্জ থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের চালক রহিম মিয়া জানান, তিনি বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। রাত ১টার দিকে তিনি এই কুষ্টিয়া-ঢাকা মহাসড়কে আটকা পড়ে আছেন।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার যাত্রী এবং পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার হচ্ছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে।
দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডাব্লটিসির ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, “পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। আপাতত আমাদের ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীবাহী বাস এবং পণ্যবাহী ট্রাককে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করছি।”