• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দৌলতদিয়ায় দুর্ভোগ, বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার


রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৩:০২ পিএম
দৌলতদিয়ায় দুর্ভোগ, বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার

দুর্ভোগ কমছেই না দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সৃষ্ট হওয়ায় যানজট এখনো রয়েছে। আসন্ন ঈদে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার  (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কজুড়ে রয়েছে পণ্যবাহী  ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সারি।

তীব্র গরমে রোজা রেখে কষ্ট পেতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। ফেরি পেতে যাত্রীবাহী বাসকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। পণ্যবাহী ট্রাকের সময় লাগছে ২৪ ঘণ্টার মতো।

এদিকে ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঈদের পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরি চলাচলের কথা থাকলেও এখনো এসে যুক্ত হয়নি নতুন ফেরি। অর্থাৎ ১৯টি ফেরিই চলাচল করছে  দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে। তবে সেখান থেকেও ৩টি ফেরি মেরামতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ১৬টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে যানবাহন। এর মধ্যে রো রো ফেরি রয়েছে ৮টি, ইউটিলিটি ফেরি ৫টি, ড্রাম ফেরি ২টি ও কেটাইপ ফেরি ১টি।

এদিকে ট্রাকচালকরা জানান, গভীর রাত থেকে ঘাটের সিরিয়ালে আটকে রয়েছেন। অভিযোগ করে ট্রাকচালক জুবায়ের আলী বলেন, “এক ট্রিপে  আমাদের ৩-৪ দিন চলে গেলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হয়। আবার আমাদের এই ঘাট এলাকায়ও থাকা কষ্ট হয়ে যায়।”

বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারাও বিরক্তি প্রকাশ করেন। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, “আমাদের দুর্ভোগের কথা জেনে কী করবেন? যারা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে তারাই জানে এই ফেরিঘাটে কি পরিমাণ দুর্ভোগ হয়।”

ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছে, নষ্ট তিনটি ফেরি এবং নতুন ২টি অর্থাৎ মোট ৫টি ফেরি সংযুক্ত হলে এই যানজট কিছুটা কমবে। একই সঙ্গে ঈদের আগে  ও পরে ৩দিন এবং ঈদের দিন অর্থাৎ মোট ৭ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, “ঈদের ৩ দিন আগ থেকে অপচনশীল পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তাই এই ট্রাকগুলো এখনই পার হচ্ছে বলে যানজট বাড়ছে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!