• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ০১:১০ পিএম
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
ছবি: সংবাদ প্রকাশ

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা ও হিমালয়খ্যাত পঞ্চগড়ে পুরো দমে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। জেলায় শীত মৌসুমের অধিকাংশ সময় থাকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এবারও ডিসেম্বর মাসের ১৯ দিনের মধ্যে দুইদিন অন্যজেলায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকলেও টানা ১৭ দিন ধরে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলাটিতে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সকাল ১১টায় সারা দেশের সঙ্গে নির্ণয় শেষে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে রেকর্ড করা হয়।

এদিকে দিনভর গরম আবহাওয়া থাকলেও গত কয়েকদিনের তুলনায় শীত অনেকটাই বেশি অনূভূত হচ্ছে। তবে রাত থেকে পরদিন প্রথম সকাল পর্যন্ত নামছে হার কাপানো শীত।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত দশদিন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৬ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসে উঠানামা করবে। শীতের তীব্রতা ও গরম কাপড়ের অভাবে দূর্ভোগে পড়ছে স্থানীয় নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় শীতের দাপট অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রাত থেকে পরদিন প্রথম সকাল পর্যন্ত নামছে হার কাপানো শীত ও কুয়াশা। প্রতিবারের মত এবারও গরমের মাঝে অনেকটা আগে-ভাগে শীতের আমেজ শুরু হওয়ায় পঞ্চগড় জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। 

এছাড়া শীতের দাপটে বিপাকে পড়েছে দিনমুজুর ও নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষেরা। অনেকেই এই শীত থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড় ও শীত বস্ত্রের জন্য ছুটছে বিভিন্নজনের দ্বারে দ্বারে।

তেঁতুলিয়ার দেবনগড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, “শীত অনেকটাই বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু পেটের ক্ষুধার কাছে শীত এমন আর কি?”

ভজনপুর এলাকার জুমার উদ্দীন বলেন, “এখন পর্যন্ত শীতের কোন সহায়তা পাইনি। খুবই শীত করে। এই শীতের সময় সংসার ও পরিবার নিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে আছি।”

এদিকে বৈরি আবহাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা। এতে করে জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তবে জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি শীত অনুভুত হয় সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ায়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন,  “দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে আসছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেলাও অনেকটাই শীত অনুভূত হচ্ছে। রোববার সকাল ৯টায় পঞ্চড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসয়িাস। ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত দশদিন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৬ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসে উঠানামা করবে। একই সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে।”

তবে আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারিতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!