• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দীর্ঘদিন পর ঢল নেমেছে পাহাড়ের বাঁকে


বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২১, ০৮:১১ পিএম
দীর্ঘদিন পর ঢল নেমেছে পাহাড়ের বাঁকে

সবুজ পাহাড় ঘেরা পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবান। বাংলাদেশের পর্যটন এলাকার মধ্যে অন্যতম একটি স্থান। কঠোর লকডাউনের মধ্যে পর্যটকদের আনাগোনা সেখানে কম ছিল। লকডাউন শিথিল করার পর সেখানে পর্যটক যাওয়া শুরু করেছেন। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলিতে সেখানে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না।  

এদিকে পাহাড়ের শীত মৌসুমে সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুরা প্রতি বছর ছুটে যান সবুজে অরণ্যের বিস্তৃত এই বান্দরবানে। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে ১১টি জনগোষ্ঠীর বসবাস করে পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানে। তাই দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা বেছে নেন বান্দরবান পর্যটন নগরীকে। সে জন্য পর্যটকরা এই বান্দরবান পর্যটন স্থানটিকে প্রথমেই তাদের নজরের মধ্যে থাকে।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ও ৫০ বছরের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একদিনের জন্য বান্দরবানে সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ উম্মুক্ত করে দিয়েছে। বিজয় দিবসে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ মূল্য ফ্রি পাশাপাশি সরকারি ছুটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা পাহাড়ের সৌন্দর্যকে দেখতে ভিড় করছেন এই জনপদে।

বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, বান্দরবানে সব পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ভিড় চোখে পড়ার মত ছিল। দূর-দূরান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা মুক্ত বাতাসে স্বস্তির সন্ধানে মুগ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুক, নীল দিগন্ত, সাঙ্গুনদী, শৈলপ্রপাত ও নীলগিরিতে। আরেকটি আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান স্বর্ণমন্দির ও রামজাদি। 

তাছাড়া একটু বেশি সময় নিয়ে যারা ঘুরতে এসেছেন তারা ছুটে যাচ্ছেন দুর্গম থানচির রেমাক্রী, বড় পাথর, নাফাখুম ঝর্ণা ও আমিয়া কুম দেখতে। বিশেষ করে যারা পাহাড়ি পথ ট্রেকিংয়ের জন্য আসছে তারা বেছে নিচ্ছেন এমন দুর্গম পথ। 

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক কামাল হোসেন বলেন, সকালে নীলগিরি যাওয়ার পথে চিম্বুক সড়কে চারিদিক ঘিরে সবুজ পাহাড়ে কুয়াশা ঢেকে আছে। আর পাহাড় চূড়া থেকে নিচের দিকে তাকালে ছোট ছোট পাহাড়ি পল্লী ও তাদের জীবন-বৈচিত্র আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। তার ওপর টানা ৩ দিনের ছুটি থাকায় জেলার বেশির ভাগ হোটেল মোটেল বুকিং হয়ে গেছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারে সে জন্য প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে। আশা করি, পর্যটকরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবে।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি বলেন, পর্যটন নগরী বান্দরবানের সৌন্দর্য দেখতে বছরের পুরোটা সময়ই পর্যটকের আগমন ঘটে। তাছাড়া বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমাদের জেলা প্রশাসন পরিচালিত সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ মূল্য ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। কোনো রকম প্রবেশ ফি ছাড়াই একদিনের জন্য সব দর্শনার্থীরা পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!