শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে।
এদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলোকে নৌপথ পারি দিতে দ্বিগুণেরও বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না পারাপারের টিকিট। এতে হাজার হাজার যানবাহন শ্রমিক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে।
নদীতে পানি বাড়ায় পাটুরিয়ার তিনটি পন্টুনের মধ্যে ৫ নম্বর পন্টুনটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বাকি দুটি পন্টুন দিয়ে ফেরি লোড, আনলোড হচ্ছে। ফেরি বহরের ছোট বড় ১৬টি ফেরি দিয়ে শনিবার (২৮ আগস্ট) যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
অপরদিকে, আরিচা-কজিরহাট নৌরুটেও তীব্র স্রোত আর ফেরি-সংকটের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এই নৌরুট পার হতে যানবাহনগুলোকে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই নৌপথে চলাচলকারী চারটি ফেরির মধ্যে গোলাম মওলা ও কলমিলতা নামের ছোট দুটি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। যে ফেরি দুটি দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ১০০ যানবাহন পারাপার করা যায় বলে জানিয়েছেন ফেরি কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে পাটুরিয়া প্রান্তে ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ছোট যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ছে। অপরদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথেও যানবাহনের চাপ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, নদীতে তীব্র স্রোত এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন এ নৌপথে যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমানে দুটি ঘাট দিয়ে ১৬টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আর আরিচা-কাজিরহাটে ছোট দুটি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির বলেন, পাটুরিয়ায় যানজট এড়াতে উথুলি সংযোগ মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে, পাটুরিয়ায় যানবাহনের চাপ কমলে ওই ট্রাকগুলো সিরিয়াল অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া হবে।