চুয়াডাঙ্গায় আয়োজন করে নিষিদ্ধ মোবাইল গেমস পাবজি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ায় ১০৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ২৪ জনকে দুইদিনের কারাদণ্ড ও বাকিদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ জুলাই) বিকেলে শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা সবাই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পাবজি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গায় একত্রিত হয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসে শতাধিক কিশোর ও যুবক। শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাতভর পাবজি গেমস প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় তারা। খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে ওই কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। এ সময় পাবজি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১০৮ কিশোর ও যুবককে আটক করা হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কিশোর-যুবকরা জানান, অনলাইনের মাধ্যমে আমন্ত্রণ পেয়ে চুয়াডাঙ্গায় খেলতে আসেন তারা। এখানে ১৯টা খেলোয়াড় গ্রুপ অংশ নেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, আটক সবাই বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের সবার কাছ থেকে দামি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এখানে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি লক্ষণীয়। তারা সরাসরি জুয়া না খেললেও নিজেদের মধ্যে অর্থ আদান প্রদান করেছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান জানান, আটকদের বয়স বিবেচনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক তাদের অভিভাবকের কাছে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আটদের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। আদালতটি পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম।
