জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গৃহকর্তা চুরির অপবাদ দেওয়ায় মণিমালা (১৩) নামের এক কিশোরী গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে থানা-পুলিশ কিশোরীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে। উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের মেইয়া নানার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত কিশোরী টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার ময়নাল মিয়ার মেয়ে।
নিহত মণিমালা ছোট থেকে নানার বাড়ি সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নে মেইয়া গ্রামে নানা আব্দুস সামাদের বাড়িতে থাকত। নানা অসচ্ছল থাকায় মণিমালাকে পাশের বাদাই গ্রামের চাকরিজীবী দম্পতি মিনহাজ ও রত্নার বাড়িতে তিন মাস আগে গৃহকর্মীর কাজে দেয়। কাজের ত্রুটির জন্য প্রায়ই তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হতো।
তিন দিন আগে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে পুনরায় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন সইতে না পেয়ে ওই কিশোরী পালিয়ে নানার বাড়ি চলে আসে। পরে নানা বাড়িতে এসেও গৃহকর্তা মিনহাজ ও রত্না তাকে নানা ভয়ভীতি দেখান।
পরে মণিমালা চুরির অপবাদ সইতে না পেয়ে রোববার রাতে নানার বাড়ির ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, কিশোরীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে।