চট্টগ্রাম নগরের প্রধান সড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী যান ও রিকশার চাপ। সড়কে গাড়ির চাপ যেমন বেড়েছে তেমনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মত। তবে প্রধান সড়কে যতই তৎপরতা থাকুক না কেন, অলিতে গলিতে চলছে অনেকটা স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরাদারি না থাকায় সাধারণ মানুষসহ কিশোর যুবকদের ভিড় দেখা গেছে এসব অলি-গলির দোকানপাটগুলোতে। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা না মেনে উদাসীনভাবও রয়েছে তাদের কর্মকাণ্ডে।
রোববার (৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের মুরাদপুর মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, ষোলশহর এবং নাসিরাবাদ ২ নম্বর গেট, জিইসি, খুলশী, লালখান বাজার এলাকা ঘুরে চোখে পড়ে এমন চিত্র। এসব এলাকার প্রধান সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান থাকলেও অলি গলির রাস্তায় নেই কোন কঠোরতা। ফলে মানুষ অলিগলিতে ভিড় করছে।
নগরের প্রায় এলাকায় অলিগলিতে দেখা গেছে মুদি, সেলুন, দর্জির ও চায়ের দোকান খোলা। মানুষ এসব দোকান থেকে করছে কেনা-কাটা। অনেকে আবার করছেন অহেতুক ভিড় ও আড্ডা।
দোকানদাররা বলেন, “লকডাউনে সব মানুষই বাসায়। তারা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানে আসছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা বেচা করার চেষ্টা করছি।”
একই অবস্থা নগরের ষোলশহর রেল স্টেশন এলাকাসহ শেখ ফরিদ মাজার রোড সংলগ্ন এলাকাতেও। সেলুন দোকানসহ, হার্ডওয়্যার প্লাস্টিকের দোকান এমনকি প্রায় চা নাস্তার দোকানে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি।
চায়ের দোকানদার মাহবুব বলেন, “মানুষের কাজ বন্ধ। আশেপাশে মানুষ তাই দোকানে আসে। আমাদেরও চলতে হবে। প্রধান রাস্তায় সব গাড়ি বন্ধ। মানুষ যাবে কোথায়?”
অন্যদিকে একই চিত্র দেখা গেছে, খুলশী থানার তুলাতলি বস্তি সংলগ্ন রেল লাইনের আশে পাশের দোকানগুলোতে। রেললাইনের দোকানগুলোতে রয়েছে কিশোরদের জটলা। এসব এলাকায় বেশিরভাগ মানুষই নিম্নবিত্তের। ফলে কোন সচেতনতার বালাই নেই।
একাধিক দোকানদার জানান, বিভিন্ন পণ্যর পাইকারি ডিলারগুলো দোকানে আসছে, মালপত্র দোকানে রাখতে হচ্ছে। সেজন্য হলেও তাদের দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, “স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টা জানানো। আর বিষয়গুলো প্রতিপালন করবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। এসব এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে তা প্রশাসনকে জানাব আমরা।”
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার ভোর থেকে মাঠে কাজ করছে। উপজেলাগুলোতে ইউএনও, এসিল্যান্ড ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।