শেরপুরের শ্রীবর্দীতে গৃহবধূকে (২০) গণধর্ষণ এবং নকলায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও যৌন হয়রানির অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।
শ্রীবর্দীতে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান (২৩) ও দুদু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) এবং জামালপুরের দেউরপাড়া গ্রামের আব্দুল সেকের ছেলে আয়নাল হক (৫০)। আয়নাল হক উপজেলার লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবর্দী থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে নকলায় যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা পরিতোষ সাহা পালিয়ে রয়েছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে শ্রীবর্দী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে গ্রেপ্তার তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১-২জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে নকলা উপজেলার ভুক্তভোগী ও বানেশ্বরদী ইসলামী দাখিল মাদ্রসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী গলা ব্যথার ওষুধের জন্য তার নানিকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা শহরের সাহা মেডিকেল হলে অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা পরিতোষ সাহার কাছে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থী পরিতোষ সাহার যৌন হয়রানির শিকার হয়।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় জনতা সাহা মেডিকেল হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। তবে এর আগেই কৌশলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত চিকিৎসক।
অন্যদিকে এ বিষয়টিকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা পরিতোষ সাহা।
নকলা থানার ওসি মুশফিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রাতেই পরিতোষ সাহার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা রুজু হইছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।